Header Ads Widget

header ads

Ticker

6/recent/ticker-posts

Rigid Constitution

Rigid Constitution


Merits and Demerits of the Rigid Constitution. WBCHSE class eleven Political Science notes in Bengali. Chapter- Constitution. Question- What are the pros and cons of Rigid Constitution? Rastrabigyan Prashna Uttar.

একাদশ শ্রেণি
রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর
অধ্যায়- সংবিধান

প্রশ্ন- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুনাগুন আলোচনা করো। 4+4 (উঃমাঃ 2014)

Merits and Demerits of the Rigid Constitution
উত্তর- সংবিধান-সংশোধন পদ্ধতির ভিত্তিতে সংবিধানকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়- সুপরিবর্তনীয় সংবিধান এবং দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। নামকরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যে সংবিধান খুব সহজেই সংশোধন করা যায় তাকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলে এবং যে সংবিধান সংশোধন করতে হলে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলে। সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের উদাহরণ হল গ্রেট ব্রিটেনের সংবিধান এবং দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের উদাহরণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। যাইহোক, উভয় প্রকার সংবিধানেরই কিছু দোষ-গুণ রয়েছে। নীচে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাগুণ তুলে ধরা হল।

দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলী

i) স্থিতিশীল- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সহজে সংশোধন করা যায় না। সরকার ইচ্ছা করলেই সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। এর ফলে শাসনতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
ii) অধিক মর্যাদাসম্পন্ন- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাংবিধানিক আইন ও সাধারণ আইনের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান থাকে এবং সাধারন আইনের থেকে সাংবিধানিক আইন অধিক মর্যাদাসম্পন্ন হয়।
iii) অধিকতর গণতান্ত্রিক- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধানিষেধ আরোপ করা থাকে। সরকার অথবা আইনসভা নিজেদের স্বার্থে এই সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। এরফলে সংবিধানের গণতন্ত্রিক ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকে।
iv) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অপরিহার্য- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় দুই ধরনের সরকার থাকে- কেন্দ্রীয় সরকার এবং আঞ্চলিক সরকার। এই দুই ধরণের সরকারের মধ্যে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা বন্টন করা থাকে। সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হলে কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক সরকারের ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
v) মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি সুরক্ষিত থাকে। সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি জটিল হওয়াই সরকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের ত্রুটিসমূহ

i) যুগোপযোগী নয়- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান কেবল স্থিতাবস্থা বজায় রাখে। কিন্তু সমাজ বা রাষ্ট্র কোনোটাই স্থিতিশীল নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসে কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সেই নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনা। বিশেষ করে, দ্রুত পরিবর্তনশীল সামাজিক অবস্থায় এই ধরণের সংবিধান মুখ থুবড়ে পড়ে।
ii) গণবিক্ষোভের আশঙ্কা- দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে পুরাতন ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন ঘটে। সংশোধন পদ্ধতি জটিল হওয়ার কারণে এই জাতীয় সংবিধানকে নতুন যুগের সঙ্গে মানানসই করে তোলা যায় না। এরফলে জনমানসে ক্ষোভের সঞ্চার হতে পারে এবং সংবিধান অমান্য করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
iii) জনকল্যাণ ব্যাহত- জনগণের মঙ্গলের জন্য যদি সংবিধানের কোনো অংশ সংশোধন করতে হয়, সেক্ষেত্রেও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে সংবিধান সংশোধন সম্ভব হয় না এবং জনকল্যাণ ব্যাহত হয়।
iv) সংকট মোকাবিলায় অক্ষম- সংকটময় পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য অনেক সময় সংবিধান সংশোধন করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সকল পরিস্থিতিতেই দুষ্পরিবর্তনীয় এবং এইজন্য সংকটের মোকাবিলা করতে অক্ষম।
v) বিচারবিভাগের প্রাধান্য- সংবিধানের ব্যাখ্যাকর্তা হিসেবে বিচারবিভাগের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের বিভিন্ন অংশের ব্যাখ্যা প্রদান করে বিচারবিভাগ। আইনবিভাগ এবং শাসনবিভাগ এক্ষেত্রে বিচারবিভাগের রায় মেনে চলতে বাধ্য থাকে।

দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের উপরোক্ত ত্রুটিগুলি স্বত্বেও বলা যায় যে, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের একটি দৃঢ় শাসনতান্ত্রিক পরিকাঠামো গঠন করে। তাছাড়া, এই জাতীয় সংবিধান ঘন ঘন পরিবর্তন করা যায় না বলে সাংবিধানিক আইনগুলি জনগণের শ্রদ্ধা এবং সমর্থন লাভ করে।