Nature of Parliamentary Government
What is Parliamentary Government? WBCHSE class 11 political science question and answer in Bengali for test exam and Annual Examination. Chapter- Forms of Government. Question- Nature of Parliamentary Government.
রাষ্ট্রবিজ্ঞান (একাদশ শ্রেণি)
অধ্যায়- সরকারের বিভিন্ন রূপ
প্রশ্ন- সংসদীয় বা মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার কাকে বলে? এই সরকারের বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। (3 + 5)
উত্তর- যে শাসনব্যবস্থায় আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান থাকে এবং শাসনবিভাগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে আইনবিভাগের উপর, তাকে সংসদীয় সরকার (Parliamentary Government) বা মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার (Cabinet Government) বলে। অন্যভাবে বললে, আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যদি সরকার গঠন করে তবে সেই প্রকার সরকারকেই বলা হয় সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। এই প্রকার শাসনব্যবস্থায় শাসনবিভাগের কর্মকর্তাগণ একইসঙ্গে আইনবিভাগেরও সদস্য হন। ভারত, ব্রিটেন প্রভৃতি দেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
সংসদীয় শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
নীচে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরা হল।
1) ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি- সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি। এই প্রকার শাসনব্যবস্থায় যেহেতু আইনবিভাগের সদস্যগণ শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করেন, সেইজন্য ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। আবার, ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রযুক্ত না হওয়াই আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান থাকে এবং এই দুটি বিভাগ একে অপরের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
2) দায়িত্বশীল সরকার- সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা যেহেতু আইনবিভাগের উপর নির্ভরশীল, তাই এইরূপ সরকার আইনবিভাগের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে এবং সমগ্র মন্ত্রিসভা যৌথভাবে আইনবিভাগের কাছে দায়িত্বশীল থাকে।
3) নামসর্বস্ব শাসকের উপস্থিতি- সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় একজন নিয়মতান্ত্রিক শাসক থাকেন এবং তার নামেই যাবতীয় শাসনকার্য পরিচালিত হয়। যেমন, ভারতের নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি, ব্রিটেনের নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাজা বা রানী ইত্যাদি।
4) নিমকক্ষের প্রাধান্য- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের সদস্যগণ সরকার গঠন করে। তাছাড়া, সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সরকার নিম্নকক্ষের কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। এইভাবে নিম্নকক্ষের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
5) প্রকৃত শাসক প্রধানমন্ত্রী- সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির যে ভূমিকা থাকে, সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় একজন প্রধানমন্ত্রীরও ঠিক সেইরকম ভূমিকা থাকে। মন্ত্রীপরিষদের নেতা হিসেবে তিনি সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদের গঠন থেকে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ- সব বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
6) বিরোধী দলের সদর্থক ভূমিকা- সংসদীয় শাসনব্যবস্থা যেহেতু আইনবিভাগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তাই আইনসভার বিরোধী দলগুলি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ সদর্থক ভূমিকা পালন করে থাকে। এইরূপ শাসনব্যবস্থায় আইনবিভাগের আস্থা হারালে সরকারের পতন অনিবার্য হয় ,তাই শাসনবিভাগ সহজে স্বৈরাচারী হতে পারে না।
7) ক্ষেত্রবিশেষে দুর্বল শাসনব্যবস্থা- সংসদীয় শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে, সাধারণত আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করে। কোনো দল যদি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, তবে সেই সরকার শক্তিশালী হয়। কিন্তু কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলিতভাবে বা জোটবদ্ধভাবে যখন সরকার গঠন করে, সেই সরকার দুর্বল হতে বাধ্য।
8) বিচারবিভাগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব- সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় শাসনবিভাগ বিচারবিভাগের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেমন, বিচারপতিদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে শাসনবিভাগ বিচারবিভাগের রায়কে প্রভাবিত করতে পারে।
এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্ন
এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের পার্থক্য।
রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের বৈশিষ্ট্য।
ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র বলা যায় কিনা।